Posts

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, আয়তন, সীমানা ও উপকূল

  বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন  Geographical Location and Area of Bangladesh বাংলাদেশ ২০°৩৪ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৬°৩৮´ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮°০১ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯২°৪১ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃতি। কর্কটক্রান্তি বা ট্রপিক অব ক্যান্সারে বাংলাদেশের প্রায় মধ্যভাগ (ঝিনাইদহ-কুমিল্লা জেলা) দিয়ে অতিক্রম করেছে। সুতরাং বাংলাদেশ ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ। এদেশের আয়তন ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল বা ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিমি.। বাংলাদেশের অবস্থান আয়তনে বিশ্বে ৯০তম। এদেশের উত্তরে ভারতের আসাম, মেঘালয় ও পরিশ্চমবঙ্গ প্রদেশ অবস্থিত। পূর্বে ভারতের আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মায়ানমার অবস্থিত পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও মায়ানমার অবস্থিত। বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৫,১৩৮ কিমি. এবং মায়ানমারের সাথে ২৮০ কিমি, সীমান্ত রয়েছে। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য ৭১৬ কিমি. এবং মোট সমুদ্রসীমা ১,১৮,৮১৩ বর্গকিমি. অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নীটক...

টিন নাম্বার কী? ই-টিন নাম্বার কী?ই-টিন নিবন্ধন। What is Tax payer identification number?

   করদাতার শনাক্তকরণ নম্বর (ধারা ১৮৪বি)  Tax Payers identification Number (TIN) অর্থ আইন ১৯৯৩-এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ১৮৪ (বি) নতুন ধারা সংযোজনপূর্বক করদাতার জন্য জাতীয়ভাবে শনাক্তকরণ নম্বর প্রবর্তন করা হয় এবং তা ১লা জুলাই, ১৯৯৪ হতে কার্যকরি হয়। এই শনাক্তকরণ নম্বরকে সংক্ষেপে TIN নম্বর বা  Tax  payers identification number বলে। ১লা জুলাই, ১৯৯৪ সালের পূর্বে প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী করদাতাকে সংশ্লিষ্ট কর অফিস হতে জি. আই. আর (GIR) নম্বর প্রদান করা হতো। এই নম্বর করদাতার জাতীয়ভিত্তিক কোন শনাক্তকরণ নম্বর নয়। করদাতাকে জাতীয়ভিত্তিক কোন Identity দেয়া এবং কর প্রশাসনের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই ধরনের TIN নম্বর প্রদানের বিধান প্রবর্তন করা হয়। ই-টিন e-TIN অর্থ আইন ২০১৩ এর মাধ্যমে পূর্বে প্রচলিত গতানুগতিক করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর ( Tax  payer's Identification Number-TIN) পরিবর্তন করে ইলেকট্রনিক করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছে। যাকে Electronic  Tax  payer's Identification Number বা e-TIN বলা হয় । গতানুগতিক পদ্ধতিতে ১০ ...

ট্রেডমার্ক কাকে বলে?What is Trade mark? ট্রেডমার্ক আইন কত সালের?

ট্রেডমার্ক কী? What is Trade Mark? ট্রেডমার্ক হলো ব্র্যান্ডের একটি অংশ যা আইন দ্বারা স্বীকৃত এবং যার মাধ্যমে কোম্পানির পণ্য সহজে শনাক্তকরণ ও পৃথকীকরণযোগ্য । ট্রেডমার্কের ফলে কোম্পানি আইনগত অধিকারপ্রাপ্ত হয়। ট্রেডমার্কের ফলে আইনগত সুরক্ষা প্রতিষ্ঠিত হয় যার্তে প্রতিযোগী ব্যবসায়ির ব্যবহৃত নাম, চিত্র, লেবেল, নকশা, আকৃতি, প্রতীক, চিহ্ন, শব্দ ব্যবহার বা নকল করা যায় না। বাংলাদেশে প্রচলিত ট্রেডমার্ক আইন Trademark Act-2009 নামে প্রচলিত । যেমন-তাবানি বেভারেজ কোম্পানির Coca Cola বোতলে বাঁকা করে লিখিত Coca-Cola শব্দটি আইন দ্বারা স্বীকৃত যা রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেডমার্ক। বিভিন্ন লেখক কর্তৃক প্রদত্ত ট্রেডমার্কের কতিপয় সংজ্ঞা নিম্নে দেওয়া হলো : * McCarthy & Perreault -এর মতে, "A trade mark includes only those words, symbols or marks that are legally registered for use by a single company." 11. (অর্থাৎ “ট্রেডমার্ক শুধুমাত্র ঐসব শব্দ, প্রতীক বা চিহ্নাদি অন্তর্ভুক্ত করে যা একটি  কোম্পানি আইনগতভাবে নিবন্ধন করে ব্যবহারের অধিকার লাভ করে।”) আরও পড়ুনঃ ব্র‍্যান্ডিং কাকে বলে? ♦ Stanton, Etzel ...

কোরাম কাকে বলে?কোরাম সংক্রান্ত নিয়মাবলি।What is Quorum?

চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম কী?সিএ কাকে বলে? কীভাবে সিএ ফার্ম কাজ করে?কীভাবে সিএ ফার্ম গঠিত হয়?what is Chartered accountant firm(CA) firm?

সংগঠন কাকে বলে?what is organisation?

সংগঠন Organization শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- গঠন, পরিচালনা, পাঠ্যক্রম এবং প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি। তাই সংগঠন বলতে একদিকে যেমন সংগঠকের কার্যাবলিকে বুঝায় তেমনি কোনো প্রতিষ্ঠানকেও বুঝায়। সংগঠন হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কিছু সংখ্যক মানুষের একটি নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা। (সংগঠনগুলো (মানুষ, উদ্দেশ্য এবং পদ্ধতি এই তিনটি উপাদান নিয়ে গঠিত)। প্রতিটি সংগঠনের ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকে। এই উদ্দেশ্যকে সাধারণত লক্ষ্য হিসেবে প্রকাশ করা হয়। সংগঠনগুলো মানুষের সমন্বয়ে গঠিত হয় এবং সংগঠনের একটি নিয়মতান্ত্রিক কাঠামো রয়েছে যেখানে প্রতিটি সদস্যের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিছু সদস্য হলো ব্যবস্থাপক এবং কিছু সদস্য হলো কর্মী। মূলত আইনগত সত্তা বিহীন সংগঠন হলো একদল ব্যক্তির সাধারণ লক্ষ্য বা পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে গঠিত সহজতম একটি রূপ। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে একজন থেকে কয়েক হাজার ব্যক্তি সম্পৃক্ত থাকতে পারে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নির্ধারণের সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হয়। এই বিষয়গুলো ব্যক্ত বা অব্যক্ত হতে পারে। অন্যভাবে...

উৎপাদনশীলতা কাকে বলে?What is productivity?

উৎপাদনশীলতা Productivity সাধারণ অর্থে উৎপাদন বলতে কোন দ্রব্য সৃষ্টি করাকে বুঝায় । আর অর্থনীতিতে উৎপাদন বলতে কোন দ্রব্যের উপযোগ সৃষ্টি করাকে বুঝায় উৎপাদনের পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা শব্দটি এসে যায়। কেননা উৎপাদনশীলতা উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাধারণ কথায় উৎপাদন ও উৎপাদনের উপকরণের অনুপাতকে উৎপাদনশীলতা বা Productivity বলে । ডঃ মণ্ডেলের মতে, “উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য প্রতি একক সম্পন্ন ব্যবহার করে যে দ্রব্য উৎপাদন করা হয়, তার অনুপাতকে উৎপাদনশীলতা বলে”। J. W. Kewdrick -এর মতে, “একটি সংগঠনের সম্পদের মাধ্যমে অর্জিত পণ্য ও সেবার উৎপাদন স্তরকে উৎপাদনশীলতা বলে ।”  P. F. Drucker -এর মতে, “ন্যূনতম ব্যয়ে সর্বাধিক পরিমাণ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত উৎপাদনের সঠিক ভারসাম্য আনয়ন করাকে উৎপাদনশীলতা বলে ।” আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)'-র মতে, “কর্মীদল সমাজ তথা কোন দেশের মোট উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবা কর্মে যে সকল উপকরণের প্রয়োজন হয় তার অনুপাতকে উৎপাদনশীলতা বলে ।” আরও পড়ুনঃ বাজার কাকে বলে? —অর্থাৎ উৎপাদনশীলতা =উৎপাদন(Output)÷ উপকরণ (Input) অতএব বলা যায় যে, উৎপাদনের উপকরণ এবং উৎপাদনের অনুপাতকে উৎপাদনশীলতা...