Posts

Showing posts with the label বাংলা

ভাবসম্প্রসারণ সকলের তরে সকলে আমরা। ভাবসম্প্রসারণ নানান দেশের নানান ভাষা

ভাব-সম্প্রসারণ লিখার নিয়ম।ভাবসম্প্রসারণ কাকে বলে? ভাব সম্প্রসারণ কিভাবে লিখব

 'ভাব-সম্প্রসারণ' কথাটির অর্থ কবিতা বা গদ্যের অন্তর্নিহিত তৎপর্যকে ব্যাখ্যা করা, বিস্তারিত করে লেখা, বিশ্লেষণ করা। ঐশ্বর্যমণ্ডিত কোনো কবিতার চরণে কিংবা গদ্যাংশের সীমিত পরিসরে বীজধর্মী কোনো বক্তব্য ব্যাপক ভাবব্যঞ্জনা লাভ করে। সেই ভাববীজটিকে উন্মোচিত করার কাজটিকে বলা হয় ভাব-সম্প্রসারণ। ভাববীজটি সাধারণত রূপকধর্মী, সংকেতময় বা তৎপর্যপূর্ণ শব্দগুচ্ছের আবরণে প্রচ্ছন্ন থাকে। নানা দিক থেকে সেই ভাবটির ওপর আলোকসম্পাত করে তার স্বরূপ তুলে ধরা হয় ভাব-সম্প্রসারণে। ভাববীজটি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমরা বুঝতে পারি, এ ধরনের কবিতার চরণে বা গদ্যাংশে সাধারণত মানবজীবনের কোনো মহৎ আদর্শ, মানবচরিত্রের কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্য, নৈতিকতা, প্রণোদনমূলক কোনো শক্তি, কল্যাণকর কোনো উক্তির তাৎপর্যময় বাঞ্জনাকে ধারণ করে আছে। ভাব-সম্প্রসারণ করার সময় সেই গভীর ভাবটুকু উদ্ধার করে সংহত বক্তব্যটিকে পূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। সেই ভাব রূপক-প্রতীকের আড়ালে সংগুপ্ত থাকলে, প্রয়োজনে যুক্তি, উপমা, উদাহরণ ইত্যাদির সাহায্যে বিশ্লেষণ করতে হবে। ভাব-সম্প্রসারণের কিছু নিয়ম ভাব-সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কয়েকটি দিকের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি ...

জাতি গঠনে নারীসমাজের ভূমিকা রচনা

  জাতিগঠনে নারীসমাজের ভূমিকা ভূমিকা : আমাদের দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীই নারী। সংসারে তারা শুধু বধূ-মাতা-কন্যার ভূমিকা পালন করে না। দেশের উন্নয়নে, দেশগড়ার কাজে, সমাজের মঙ্গলে, মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অপরিসীম অবদান রেখে চলছে। নারীসমাজের এসব অবদানের কথা স্বীকার করতে গিয়ে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন — বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। জাতিগঠনে, দেশের উন্নয়নে যুগে যুগে নারীরা রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। চাঁদ সুলতানা, লক্ষ্মীবাই, সুলতানা রাজিয়া, সরোজিনী নাইডু, মাদার তেরেসা, বেগম রোকেয়া, কবি সুফিয়া কামালের মতো মহীয়সী নারী দেশরক্ষায়, দেশগঠনে, জাতির উন্নয়নে রেখেছেন অসামান্য ও স্মরণীয় অবদান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও নারীদের অবদান অসামান্য। নারীশিক্ষা ও নারীউন্নয়ন : নারীশিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে নেপোলিয়ান বোনাপার্ট বলেছেন, 'তোমরা আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি উপহার দেব। শিক্ষা মানুষকে দেয় আত্মশক্তি, কর্মক্ষমতা, মনুষ্যত্ববোধ ও সুস্থ জীবনচেতনা। দুঃখজনকভাবে সত্য, আমাদের দেশে দীর...

রবীন্দ্রনাথের কবিতা

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে, হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে হৃদয়ে রয়েছ গোপনে। বাসনা বসে মন অবিরত, ধায় দশ দিশে পাগলের মতো। স্থির আঁখি তুমি ক্ষরণে শতত জাগিছ শয়নে স্বপনে। সবাই ছেড়েছে নাই যার কেহ তুমি আছ তার আছে তব কেহ নিরাশ্রয় জন পথ যার যেও সেও আছে তব ভবনে। তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর সমুখে অনন্ত জীবন বিস্তার, কাল পারাপার করিতেছ পার কেহ নাহি জানে কেমনে। জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি, যতো পাই তোমায় আরো ততো যাচি যতো জানি ততো জানি নে। জানি আমি তোমায় পাবো নিরন্তন লোক লোকান্তরে যুগ যুগান্তর তুমি আর আমি, মাঝে কেহ নাই কোনো বাঁধা নাই ভুবনে। নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে।   শেষ চিঠি মনে হচ্ছে শূন্য বাড়িটা অপ্রসন্ন, অপরাধ হয়েছে আমার তাই আছে মুখ ফিরিয়ে। ঘরে ঘরে বেড়াই ঘুরে, আমার জায়গা নেই– হাঁপিয়ে বেরিয়ে চলে আসি। এ বাড়ি ভাড়া দিয়ে চলে যাব দেরাদুনে। অমলির ঘরে ঢুকতে পারি নি বহুদিন মোচড় যেন দিত বুকে। ভাড়াটে আসবে, ঘর দিতেই হবে সাফ ক’রে, তাই খুললেম ঘরের তালা। একজোড়া আগ্রার জুতো, চুল বাঁধবার চিরুনি, তেল, এসেন্সের শিশি শেলফে তার পড়বার বই, ছোট...

ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান। উপসর্গ কাকে বলে।উপসর্গ কত প্রকার?

  ণত্ব ও ষত্ব বিধান ণত্ব বিধান বলতে কী বোঝায়? উত্তর: তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণত্ব বিধান । ণ-ত্ব বিধানের ৫টি সূত্র লিখুন । উত্তর: ১. ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে দন্ত্য ন ব্যবহৃত হয়ে যুক্ত ব্যঞ্জন গঠিত হলে, সব সময় মূর্ধন্য হয়। যেমন- ঘণ্টা, কাণ্ড ইত্যাদি। ২. ঋ, র, ষ এর পরে মূর্ধন্য হয়। যেমন- তৃণ, ঋণ, বর্ণনা ইত্যাদি । ৩. ঋ, র, ষ এর পরে স্বরধ্বনি, য য় ব হ ং এবং ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে পরবর্তী ন মূর্ধন্য হয়। যেমন- কৃপণ, হরিণ, অর্পণ ইত্যাদি । ৪. বিদেশি শব্দে মূর্ধন্য ব্যবহার হবে না। যেমন- কর্নেল ৫. কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই ণ হয়। যেমন- চাণক্য মাণিক্য, বণিক, পণ ইত্যাদি। আরও পড়ুন : বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? ষ-ত্ব বিধান বলতে কী বোঝায়? উত্তর তৎসম শব্দের বানানে 'য' এর ব্যবহারের নিয়মকে -ত্ব বিধান বলে। য-ত্ব বিধানের ৫টি নিয়ম লিখুন। উত্তর ১. অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনির এবং ক ও র-এর পরের খ- প্রত্যয়ের স থাকলে তা থ হয়। যেমন- ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু ইত্যাদি। ২. ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতকগুলো ধাতুতে য হয়। যেমন- অভিষেক, প্রতিষেধক, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি...

এক কথায় প্রকাশ

অ  ১. অগ্রে যে গমন করে - অগ্রগামী ২. অণুকে দেখা যায় যার দ্বারা - অণুবীক্ষণ ৩. অতর্কিত অবস্থায় আক্রমণকারী - আততায়ী ৪. অতি কষ্টে যা নিবারণ করা যায় - দুর্নিবার ৫. অতিথির আপ্যায়ন - আতিথ্য ৬. অতীত কাহিনী - ইতিহাস ৭. অধিক উক্তি - অত্যুক্তি ৮. অনুকরণ করার ইচ্ছা - অনুচিকীর্ষা ৯. অনুকরণে ইচ্ছুক - অনুচিকীর্ষু ১০. অপকার করার ইচ্ছা - অপচিকীর্ষা ১১. অনুসন্ধান করার ইচ্ছা - অনুসন্ধিৎসা ১২. অবশ্যই যা হবে - অবশ্যম্ভাবী ১৩. অরিকে দমন করে যে - অরিন্দম ১৪. অসূয়া নেই এমন নারী - অনুসূয়া ১৫. অক্ষির অগোচর - পরোক্ষ ১৬. অক্ষির সম্মুখে - প্রত্যক্ষ ১৭. অক্ষীর সমীপে - সমক্ষ ১৮. অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে যে কাজ করে - অবিমৃষ্যকারী ১৯. অগ্রে জন্ম যার - অগ্রজ ২০. অন্য উপায় নেই যার - অনন্যোপায় ২১. অন্য কাল - কালান্তর ২২. অন্য কারো প্রতি আসক্ত হয় না যে নারী - অনন্যা ২৩. অন্য দিকে মন নেই যার - অনন্যমনা ২৪. অন্য দেশ - দেশান্তর ২৫. অন্য ভাষায় রূপান্তরিত - অনূদিত ২৬. অর্ধেক রাজী - নিমরাজী ২৭. অগভীর সতর্ক নিদ্রা - কাকনিদ্রা ২৮. অল্প কথা বলে যে - মিতভাষী ২৯. অল্পক্ষণের জন্য - ক্ষণিক ৩০. অশ্বের ডাক - হ্রেষা ৩১. অকালে যে পেকে গেছে...

বিভক্তি কাকে বলে? বিভক্তি কত প্রকার ও কি কি?

 বাক্যের একটি শব্দের সঙ্গে আরেকটি শব্দের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শব্দগুলোর সঙ্গে কিছু শব্দাংশ যুক্ত করতে হয়। এই শব্দাংশগুলোকে বলা হয় বিভক্তি। মা শিশু চাঁদ দেখা। উপরের বাক্যটিতে কোন শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত করা হয়নি। ফলে বাক্যের শব্দগুলোর মধ্যে কোন সম্পর্ক সৃষ্টি হয়নি, এবং এগুলো বাক্যও হয়ে উঠতে পারেনি। এখন শিশু’র সঙ্গে কে বিভক্তি আর দেখা’র সঙ্গে চ্ছেন’ বিভক্তি যোগ করলে বাক্যটি হবে- মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। অর্থাৎ, শব্দগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে একটি বাক্য সম্পূর্ণ হলো এবং এখন আর এগুলো শব্দ নয়, এগুলো প্রত্যেকটি একেকটি পদ। শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হলে তখন সেগুলোকে বলা হয় পদ। বাক্যে বিভক্তি ছাড়া কোন পদ থাকে না বলে ধরা হয়। তাই কোন শব্দে কোন বিভক্তি যোগ করার প্রয়োজন না হলেও ধরে নেয়া হয় তার সঙ্গে একটি বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। এবং এই বিভক্তিটিকে বলা হয় শূণ্য বিভক্তি। উপরের বাক্যটিতে ‘মা’ ও ‘চাঁদ’ শব্দদুটির সঙ্গে কোন বিভক্তি যোগ করার প্রয়োজন হয়নি। তাই ধরে নিতে হবে এই শব্দদুটির সঙ্গে শূণ্য বিভক্তি যোগ হয়ে এগুলো বাক্যে ব্যবহৃত হয়েছে, এবং এই দুটিও এখন পদ। মৌলিক বাংলা শব্দ বিভ...

জলপরী ও কাঠুরে গল্পের প্রশ্ন সমাধান।দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন

 প্রশ্ন: কাঠুরিয়া রোজ কী করত? উত্তর: ঈশপ রচিত জলপরী ও কাঠুরের গল্পটিতে একজন কাঠুরিয়ার কথা বলা হয়েছে। সে ছিল খুব গরিব। কাঠুরিয়া রোজ এক বনে কাঠ কাটতে যেত। দৈনিক কাঠ কেটে বিক্রি করে যা রোজগার করত তাই দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে-পরে তার দিন চলত। প্রশ্ন: কাঠুরিয়ার দিন কীভাবে চলত? উত্তর: গল্পের রাজা ঈশপ রচিত জলপরী ও কাঠুরের গল্পটিতে একজন কাঠুরিয়ার জীবনকাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। কাঠুরিয়া এক বনে রোজ কাঠ কাটতে যেত। দৈনিক কাঠ বিক্রি করে যা রোজগার করত তাই দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে-পরে তার দিন চলত। প্রশ্ন: কাঠুরিয়া কেন কাঁদতে লাগল? উত্তর: কোনো এক বনে কাঠুরিয়া রোজ কাঠ কাটতে যেত। সে ছিল গরিব। দৈনিক কাঠ কেটে বিক্রি করে যা রোজগার করত তাই দিয়ে কোনো রকমে তার দিন চলত। একদিন এক নদীর ধারে সে কাঠ কাটতে গেল। সেখানে গিয়ে একটা গাছে যেই কুড়াল দিয়ে ঘা মেরেছে, অমনি তার হাত ফসকে কুড়ালটা গভীর পানির মধ্যে পড়ে গেল। নদী ছিল খরস্রোতা। তা ছাড়া নদীতে কুমিরের ভয়ও ছিল ভয়ানক। রোজগারের সম্বল একমাত্র কুড়ালটি হারিয়ে যাওয়ায় সে মুষড়ে পড়ে। তাই নিরুপায় হয়ে কাঠুরিয়া গাছের গোড়ায় বসে কাঁদতে লাগল।   প্রশ্ন: ...