Posts

Showing posts with the label অর্থনীতি

GDP। GNP। মোট দেশজ উৎপাদন কি?।জিডিপি ও জিএনপি এর মধ্যে পার্থক্য

Image
  জিডিপিঃ কিছুদিন ধরে মাথার মধ‌্যে শুধু একটা শব্দই ঘুরপাক খাচ্ছে “জিডিপি”। জিডিপি অর্থ কি সেটা জানি কিন্তু জিডিপি আসলে কি জিনিস এটা সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিলোনা। আলহামদুলিল্লাহ ঘন্টাখানেক সময় দিয়ে সার্চ করে পড়ে জিডিপি সম্পর্কে অনেক অজানা কিছু তথ‌্য জানতে পারলাম। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথে পুরোটা শেয়ার করার চেষ্টা করবো যতোটা জানতে পেরেছি।  GDP অর্থ হচ্ছে Gross domestic products বা সামষ্টিক অভ‌্যন্তরীণ উৎপাদক/স্থুল অভ‌্যন্তরীণ উৎপাদক। একটি দেশের অভ‌্যন্তরীণ এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব‌্য ও সেবার বাজারে সামষ্টিক মূল‌্যই হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি। জিডিপি পরিমাপ ও বোঝার সাধারণ উপায় হলো ব‌্যয় পদ্ধতি। সামষ্টিক অভ‌্যন্তরীণ উৎপাদক =ভোগ+বিনিয়োগ+সরকারি ব‌্যয়+(রপ্তানি-আমদানি)  জিডিপি কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে: Nominal বা নামমাত্র জিডিপি: কোন দেশের পণ‌্য উৎপাদনের মাত্রা না বেড়ে যদি শুধু পরিষেবার মূল‌্য  বৃদ্ধি পায় তাহলে তাকে নামমাত্র জিডিপি বলে।উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক কোন দেশে শুধু  কলম উৎপাদন হয়। ২০১৫ সালে সে দেশে মোট ৩০টি কলম উৎপাদন হয়েছে যার বাজার মূল‌্য ৫ ট...

অর্থনীতির মূল দুটি শাখা কি কি?

১.ব্যষ্টিক অর্থনীত (Micro Economics) :  প্রাচীন গ্রীকশব্দ  MIKROS হতে Micro শব্দটির উৎপত্তি । যার অর্থ হচ্ছেক্ষুদ্র বা ছোট । "অর্থনীতির যে শাখায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ব্যষ্টিক অর্থনীত বলে । অর্থাৎ সামষ্টির পরিবর্ত-এ ব্যাক্তি। যেমন: সাধারণ দামস্থর (Price-Level) এর পরিবর্ত-এ একক মূল্য । ২. সামষ্টিক অর্থনীতি (Macro Economics ) : প্রাচীন গ্রিক শব্দ MAKROS হতে Makros শব্দটির উৎপত্তি যার অর্থ হল বিশাল বা বড় । অর্থনীতির যে শাখায় বৃহৎ পরিবেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকেই সামষ্টিক অর্থনীতি বলে । ব্যক্তির পরিবর্তে সমষ্টির অর্থনৈতিক কার্যকলাপ আলোচনা।

মোট দেশজ উৎপাদন বলতে কী বুঝায়? GDP

        মোট দেশজ উৎপাদন

হস্তান্তর পাওনা বা হস্তান্তর ব্যয় কাকে বলে?

  হস্তান্তর ব্যয় বলতে এক হাত থেকে অপর হাতে অর্থের (আয়ের) স্থানান্তর কে বুঝায়।চলতি উৎপাদনশীল কার্যক্রমের উপর কোনো প্রভাব বিস্তার না করে অর্থনীতির একটি ক্ষেত্র হতে অপর ক্ষেত্রে অর্থের (আয়ের) স্থানান্তর কে বলা হয় হস্তান্তর ব্যয় বা হস্তান্তর পাওনা। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের হস্তান্তর পাওনা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা প্রদান করা হলো ঃ- ১।সরকারি ঋণের জন্য প্রদত্ত সুদ: যুদ্ধকালীন ব্যয় নির্বাহের জন্য কিংবা যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে সরকার যে ঋণ গ্রহণ করা তার জন্য প্রদত্ত সুদকে হস্তান্তর ব্যয় হিসেবে ধরা হয়। ২।বৈদেশিক উপহার ও অনুদান : জনগণ কোনো বিদেশিকে উপহার প্রদান করলে কিংবা বিদেশ থেকে সরকার কোনো অনুদান পেলে তা হস্তান্তর পাওনা হিসেবে চিহ্নিত হয়। ৩।আভ্যন্তরীণ হস্তান্তর : দেশের দুঃস্থ জনসাধারণকে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে দান বা সাহায্য প্রদান করে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি ইত্যাদি হস্তান্তর ব্যয় এর অন্তর্ভুক্ত।  ৪।ব্যবসা ক্ষেত্রে হস্তান্তর পাওনা: বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করে, কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভ্রমণ ভাতা ও পুরস্কার প্রদান করে এগুলো হস্তান্তর ব্...

মূলধন কাকে বলে?।। What is capital?

 • সাধারণত মূলধন বলতে আমরা ব্যবসায় নিয়োজিত টাকা পয়সাকে বুঝি।কিন্তু অর্থনীতিতে মূলধন একটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়।অর্থাৎ , মানুষের শ্রম দ্বারা উৎপাদিত দ্রব্যের যে অংশ সরাসরি ভোগের উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয়ে পুনরায় উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত হয়, তাকে মূলধন বলে। • বিভিন্ন অর্থনীতিবিদগণ বিভিন্নভাবে মূলধন এর সঙ্গা দিয়েছেন।যথাঃ- • “Capital is the Produced means of production.” অর্থাৎ, মূলধন হলো উৎপাদন এর উৎপাদিত উপাদান।  –Bohm Bawarck • “যে সমস্ত সম্পদ কোন আয় সৃষ্টি করে অথবা আয় উপার্জন সহায়তা করে তাকে মূলধন বলে।” –চ্যাপম্যান • উপরের সঙ্গাসমূহ বিশ্লেষণ করে বলা যায়,প্রাকৃতিক সম্পদের উপর শ্রম ও উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগ করে যেসব দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করা হয় এবং পুনরায় যেগুলো অতিরিক্ত আয় সৃষ্টির কাজে ব্যবহৃত হয়, সেগুলো মূলধন বলে।  যেমন: কলকারখানা, স্থায়ী যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল  ইত্যাদি।  • গাণিতিকভাবে এর ব্যাখ্যা হলো:- K=f(Y,C,P) dK/dY>0, dK/dP>0,dK/dC<0 এখানে, K= মূলধন  Y=আয় P=দামস্তর C=ভোগ F=অপেক্ষক। অর্থাৎ, মূলধনের সাথে আয় এবং দামস্তরের সরাসরি কিনু মূলধনের স...

ভোগ অপেক্ষক বা ভোগ প্রবণতা কাকে বলে?

 অর্থনীতির অন্যান্য অবস্থা (যেমন- রুচি,পছন্দ, অভ্যাস, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি) অপরিবর্তিত থাকলে ভোগ শুধুমাত্র আয়ের উপর নির্ভরশীল। আয় বাড়লে ভোগব্যয় বাড়ে,আয় কমলে ভোগব্যয় কমে।  অর্থাৎ, আয়ের সাথে ভোগব্যয়ের এই ধনাত্মক বা সরাসরি সম্পর্ককে বলা হয় ভোগ অপেক্ষক বা ভোগ প্রবণতা ।    যেমন-                  C=f(y) এখানে,  C=ভোগব্যয়,  f=অপেক্ষক, y=জাতীয় আয়। তবে, ভোগব্যায় মূলত নির্ভর করে ব্যয়যোগ্য আয়ের উপর।      অর্থাৎ ,  C=  f(Y d )             ⇨C=f(Y–T) এখানে, T=কর  ভোগ অপেক্ষক প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ ২ । স্বল্পকালীন ভোগ অপেক্ষক, C=a+bY   এখানে, a=ভোগরেখার ছেদক বা স্বয়ম্ভূত ভোগ এবং  b=   প্রান্তিক ভোগ প্রবণতা বা ভোগ ফাংশনের ঢাল। ২।  দীর্ঘকালীন ভোগ অপেক্ষক,  C=bY  এখানে, b= প্রান্তিক ভোগ প্রবণতা।