একজন আদর্শ নেতার গুণাবলি

 ব্যক্তিত্ব (Personality) : উন্নত ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতে হবে। নেতার মধ্যে কাজ করার তাড়না থাকতে হবে। তাড়নাই দলের চালিকাশক্তি হিসেবে দলকে সামনে এগিয়ে নেবে। আত্মবিশ্বাস (Self confidence) একজন নেতা প্রবল আত্মবিশ্বাসের অধিকারী না হলে অধস্তনরাও আত্মবিশ্বাসী হয়না। নেতাকে মূলত অধস্তনরা অনুসরণ করে থাকে। তাই তাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। 


ব্যক্তিগত উদ্যোগ (Personal drive) : সাংগঠনিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য নেতাকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক কিছু করার মনমানসিকতা থাকতে হবে। নেতাকে অনুসরণ করে অন্যরাও উৎসাহিত হবেন।


বিশ্লেষণ ক্ষমতা (Analytical ability) : সমস্যা বা ঘটনা সহজে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে। সমস্যা যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করতে না পারলে দক্ষ ও কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয় না। ৬। ধৈর্য (Patience) : নেতাকে অবশ্যই অসীম ধৈর্যের অধিকারী হতে হবে। উত্তপ্ত, অনাকাঙ্খিত, অস্থিতিশীল পরিবেশে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় সর্বকিছু মোকাবেলা করার ক্ষমতা থাকতে হবে।


দায়িত্ববোধ (Responsibility) : নেতা অবশ্যই দলের এবং নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ থাকবেন। দায়িত্ব এড়িয়ে চলার মানসিকতা পরিহার করতে হবে । তা না হলে উত্তম নেতা হিসেবে বিবেচিত হবেন না । ৮। ব্যবসায় জ্ঞান (Business knowledge) : একজন নেতাকে দেশের ব্যবসায়, শিল্প, বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে তা না হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ভুল করবেন ।


 মানসিক স্বাস্থ্য (Mental health) : নেতার মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হলে উৎসাহ, উদ্দীপনা, মনোবল, প্রেষণা, সাহসের সাথে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারবেন।


সৃজনশীলতা (Creativity) : নেতাকে অবশ্যই সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী হতে হবে। তা না হলে কর্মিরা তাকে শ্রদ্ধা করবে না এবং তাকে অনুসরণ করবে না ১১। নৈতিক গুণাবলি (Ethical qualities) নেতার নৈতিক গুণাবলি বলতে নিয়ম-শৃঙ্খলা, স্পষ্টবাদিতা, আনুগত্য,


উদ্যোগ, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা প্রভৃতিকে বুঝায় এক কথায় নেতাকে আদর্শ চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।


নমনীয়তা (Flexibility) : পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে পারিপার্শ্বিকতাকে মোকাবেলা করার আগ্রহ


থাকতে হবে। একগুয়েমী স্বভাব পরিহার করতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে নীতি, পদ্ধতি,


কার্যক্রম, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।


 সাধারণ শিক্ষা (General education) : নেতার সাধারণ শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই তার পদের জন্য উপযুক্ত হবে এবং অধস্তনদের তুলনায় কম থাকলে চলবে না


 সাহস (Courage) : সাহসিকতার সাথে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার ক্ষমতা ও ইচ্ছা থাকতে হবে। দুর্যোগের মুহূর্তে নেতাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে ।


আরও পড়ুনঃনেতৃত্ব কি? what is leadership?


 সহযোগিতার মনোভাব (Cooperative attitude) : অধস্তনরা সকল সময় আদেশ নির্দেশই পালন করতে পছন্দ করে না। বিপদে বা দুর্দিনে তারা নেতার সহযোগিতাও কামনা করে  নেতাকে সহযোগিতার মনোভাব থাকতে হবে ।


 যোগাযোগ নৈগুণ্য (Communication skill) : নেতা তার আদর্শ, ধ্যান-ধারণা, নীতি-নির্দেশ যোগাযোগের মাধ্যমে কর্মিদের নিকট উপস্থাপন করবেন। নিজের চিন্তা-ভাবনা সহজভাবে অন্যের নিকট উপস্থাপন করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

সম্মোহনী শক্তি (Carishma) : সম্মোহনী শক্তির গুণে অধস্তনদের নিকট সহজে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অধস্তনরা চুপচাপ নেতার নির্দেশ পালন করতে ব্যস্ত হয়ে যায়।


 বাস্তবতা (Realism) : নেতাকে অবশ্যই বাস্তববাদী হতে হবে। আবেগের বশবর্তী হয়ে কোন কাজ করা যাবে না। নেতাকে সর্বদা আবেগের ঊর্ধ্বে থেকে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে। করার প্রয়োজন আছে। কারণ নেতার উপরেও


অনুগামী (Follow up) ঃমনে রাখতে হবে নেতাকে অধস্তনতা স্বীকার নেতা আছে ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী উভয় প্রকার অনুগামীতা প্রয়োজন।

Comments

Popular posts from this blog

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে।।Human Resource Management

হস্তান্তর পাওনা বা হস্তান্তর ব্যয় কাকে বলে?

মূলধন কাকে বলে?।। What is capital?