যৌথমূলধনী কোম্পানি কি? যৌথমূলধনী কোম্পানির বৈশিষ্ট্য
যৌথমূলধনী ব্যবসায় বা কোম্পানিঃ
সাধারণ অর্থে,কতিপয় ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে সেচ্ছায়,যৌথভাবে মূলধন বিনিয়োগ করে যে আইনসম্মত ব্যবসায় গঠন করে তাকে যৌথমূলধনী ব্যবসায় বা যৌথমূলধনী কোম্পানি বলে।
ব্যাপক অর্থে,যৌথমূলধনী ব্যবসায় বা কোম্পানি হলো আইনসৃষ্ট ও আইনসম্মত কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী, চিরন্তন অস্তিত্বসম্পন্ন সীমিত দায় সম্পন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যেখানে কতিপয় ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে যৌথভাবে মূলধন বিনিয়োগ করে।
প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ
১।১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন এর ২(১-ঘ) ধারা অনুয়ায়ী, "কোম্পানি বলতে কোম্পানি আইনের অধীনে গঠিত ও নিবন্ধিত অথবা কোনো বিদ্যমান কোম্পানিকে বোঝায়।"
২।❝কোম্পানি হলো এমন একটি কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তাযা অদৃশ্য, অস্পর্শনী অথচ আইনের মধ্যে টিকে থাকে।❞
-----জন মার্শাল
৩।❝কোম্পানি বলতে আইন স্বীকৃত এমন একটি কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তাকে বুঝায় যার একটি নাম,একটি সাধারণ সীল ও যৌথ মূলধন থাকে এবং তা সীমিত দায় বিশিষ্ট ও হস্তান্তর যোগ্য নির্দিষ্ট মূল্যের শেয়ারে বিভক্ত।❞
-----অধ্যাপক ওয়াই,কে,বুশান
★আরও পড়ুন ( গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস)
উপরের সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করে পাইঃ-
১।কতিপয় ব্যক্তির সেচ্ছাপ্রণোদিত প্রতিষ্ঠান
২।এটি আইন দ্বারা সৃষ্ট, কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী
৩।এটি চিরন্তন অস্তিত্ব সমন্ন প্রতিষ্ঠান
৪।শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য
৫।সদস্যদের দায় সীমিত
৬।নিজস্ব নাম ও সীলমোহর দ্বারা পরিচালিত।
যৌথমূলধনী কোম্পানির বৈশিষ্ট্যঃ
ক)আইনগত বৈশিষ্ট্যঃ
১।কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা
২।আয়নসৃষ্ট প্রতিষ্ঠান
৩।চিরন্তন অস্তিত্ব
৪।শেয়ার মূলধন
৫।সাধারণ সীলমোহর
৬।শেয়ার হস্তান্তর যোগ্যতা
৭।সীমাবদ্ধ দায়
৮।বিধিবদ্ধ দায়িত্ব
৯।সদস্য সংখ্যা
১০।মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা ভিন্নতা।
খ)সাধারণ বৈশিষ্ট্যঃ
১।জটিল গঠন প্রণালী
২।অধিক মূলধন
৩।বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান
৪।গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা
৫।দক্ষ ব্যবস্থাপনা
৬।সেচ্ছাপ্রণোদিত সংস্থা
৭।স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান
৮।মুনাফা বন্টন
৯।সদস্যপদ অর্জন
১০।অবসায়ন
১১।নাগরিকত্ব
১২।উদ্দেশ্যের নির্দিষ্টতা।
Comments
Post a Comment