চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে ?বহুল ব্যবহৃত চিত্রভিত্তিক ইউজার Interface । Graphical user interface

  

চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম   


যে অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন আইকন ব্যবহার করে কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করে থাকে তাকে চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম বলে। 

      •আইকন হলো File, Folder এবং অন্যান্য সফটওয়্যার এর            প্রতিকী চিত্র।

      •মাউসের সাহায্যে আইকন মেন্যু,কমান্ড নির্বাচন করা হয় এবং         নির্বাচিত অংশগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করে কাজ             সম্পাদন করা হয়।

        GUI→ Graphical User Interface বা চিত্রভিত্তিক                    অপারেটিং সিস্টেম ।  

বহুল ব্যবহৃত চিত্রভিত্তিক ইউজার Interface
 

 

   ১.DOS(ডস)

       •DOS এর পূর্ণরূপ হলো Disk Operating System 

       •যুক্তরাষ্ট্রের  মাইক্রোসফট কর্পোরেশন IBM Computer                এর  জন্য প্রথম DOSই অপারেটিং সিস্টেম উদ্ভাবন করেন।

       •IBM Computer  এর জন্য ব্যবহৃত DOS কে  PC-Dos          বলা হয়।

       •IBM এর সমকক্ষ Computer এর জন্য ব্যবহৃত DOS কে MS-DOS বলে।

•Microsoft Corporation কর্তৃক ১৯৮১ সালে ১ম মাইক্রোসফট ডস্ অর্থাৎ MS-DOS অপারেটিং সিস্টেম প্রচলিত হয়। 

২.Windows (উইন্ডোজ)  

•উইন্ডোজ হচ্ছে আমেরিকার বিখ্যাত মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এর তৈরী একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। 

•মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ১৯৮৫ সালে সর্বপ্রথম এই প্রোগ্রাম টি বাজারজাত করে। 

•বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে Windows XP, windows 7, ভিস্তা ইত্যাদি। 

৩. Mac OS

•Mac OS এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Macintosh operating system.

• Apple Computer Inc কোম্পানির তৈরি Macintosh computer এর জন্য আমেরিকার জেরক্স কোম্পানি লিজ অপারেটিং সিস্টেমের লাইসেন্সের মাধ্যমে Mac-OS তৈরি করে।

•যে কোনো ব্যবহারকারী এটি সহজে ব্যবহার করতে পারে। কারণ এটি চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। 

৪.UNIX 

•১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বেল ল্যাবরেটরিতে “ কিন টমসন” UNIX অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেন।

•১ম পর্যায়ে মিনিকম্পিউটারের জন্য লিখিত হলেও পরবর্তীতে মেইনফ্রেম ও মাইক্রোকম্পিউটারে এটি ব্যবহার করা হয়।

•১৯৭০ সালে টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে UNIX প্রকাশ পায়। 

৫.LINUX (লিনাক্স) 

•লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম LNIX অপারেটিং সিস্টেমের একটি বিশেষ সংস্করণ। 

•১৯৯০ সালে ফিনল্যান্ডের যুবক “লিনাক্স টারভোল্ডাস” লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেন 

•এটি ব্যবহার করার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের সিকিউরিটি ও গ্রাফিক্স অত্যন্ত শক্তিশালী। 


আরও পড়ুনঃ

অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে?



লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা

 

1. লিনাক্স গ্রাফিক্যাল ও টেক্সট বেজড্ অপারেটিং সিস্টেম। 

2. এটি ওপেন সোর্সকোড ভিত্তিক একটি অপারেটিং সিস্টেম হওয়ায় যে কেউ এর পরিবর্তন আনতে পারবে।

3. এটি একদম ফ্রি।ইন্টারনেট হতে সহজেই ডাউনলোড করা যায়। 

4. লিনাক্স এর নেটওয়ার্ক সাপোর্ট সার্ভিস উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের তুলনায় অধিক শক্তিশালী। 


Comments

Popular posts from this blog

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে।।Human Resource Management

হস্তান্তর পাওনা বা হস্তান্তর ব্যয় কাকে বলে?

মূলধন কাকে বলে?।। What is capital?