অংশীদারি ব্যবসায় কি। dainikbidda.blogpost

  অংশীদারি আইন, ১৯৩২

The Partnership Act,1932


১।অংশীদারি ব্যবসায় বলতে কি বুঝায়?

উঃ বাংলাদেশে প্রচলিত ১৯৩২সালের অংশীদারি আইন এর ৪ধারা অনুযায়ী,  সকলের দ্বারা অথবা সকলের পক্ষে যেকোনো একজনের দ্বারা পরিচালিত ব্যবসায়ের মুনাফা নিজেদের মধ্যে বন্টনের নিমিত্তে ব্যক্তিবর্গের মধ্যকার চুক্তিবদ্ধ সম্পর্ককে অংশীদারি ব্যবসায় বলে।

২।অংশীদারি কারবারের মূলভিত্তি কী?

উঃ অংশীদারি কারবারের মূলভিত্তি হলো চুক্তি। 

৩।সাধারণ অংশীদারির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা কত?

উঃ সর্বনিম্ন সদস্য সংখ্যা ২জন এবং সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা ২০জন।

৪।ব্যাংকিং অংশীদারির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা কত? 

উঃ সর্বনিম্ন সদস্য সংখ্যা ২জন এবং সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা ১০ জন।

৫।অংশীদারগণের অধিকার ও দায় কিভাবে নির্ধারিত হয়?

উঃ ১১(১) ধারা অনুযায়ী, অংশীদারগণের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে তাদের অধিকার ও দায় নির্ধারিত হয়। 

৬।অংশীদারি কারবারের লাভ-লোকসান কিভাবে বন্টিত হয়?

উঃ অংশীদারি কারবারের লাভ-লোকসান  সকল অংশীদারই সমান অনুপাত ভোগ করবেন।[১৩(খ)ধারা] 

৭।কোনো অংশীদার ঋণ হিসেবে অর্থ প্রদানের জন্য কত হারে সুদ প্রাপ্ত হবেন?

উঃ অংশীদারগণ ঋণ হিসেবে অর্থ প্রদান করলে অতিরিক্ত অর্থের উপর বাৎসরিক অনধিক ৬% হারে সুদ পাওয়ার অধিকারী হবেন।[১৩(ঘ)ধারা]

৮।নাবালক কি অংশীদার হতে পারে?

উঃ চুক্তি অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি।১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের ১১ধারা অনুযায়ী নাবালক(১৮ বছরের কম) কোনো চুক্তি সম্পাদন করতে পারে না।সুতরাং নাবালক অংশীদার হতে পারে না।

৯।কখন নাবালককে অংশীদারি কারবারের সুবিধা প্রদান করা হয়?

উঃ নাবালক অংশীদার হতে পারে না। কিন্তু সকল অংশীদারের সম্মতিক্রমে নাবালককে অংশীদারি কারবারের সুনিধা প্রদান করা যায়।

১০।নাবালক কি অংশীদারি কারবারের অংশীদার হতে পারে?

উঃ নাবালক সাবালকত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে বা অংশীদার হিসেবে যোগদান করতে পারে। [ধারা-৩০(৫)]

১১।অংশীদারি কারবারের নাবালক কি ব্যক্তওগতভাবে দায়বদ্ধ? 

উঃ কারবারের কার্যক্রমের জন্য নাবালকের মুনাফা ও সম্পদ দায়বদ্ধ কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পদ দায়বদ্ধ হবেনা।[ধারা-৩০(৩)]

১২।বিলোপসাধন বলতে কি বুঝায়?

উঃ কেনো অংশীদারি কারবারের সকল অংশীদারের মধ্যে অংশীদারি সম্পর্কের বিলোপকে অংশীদারি কারবারের বিলোপসাধন বলা হয়।

১৩।অংশীদারি  আইনের কত ধারায় বিলোপসাধনের পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে?

উঃ অংশীদারি আইন এর ৩৯ধারায়বিলোপসাধনপর পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। 

১৪।নিবন্ধন বলতে কী বুঝায়? 

উঃ নিবন্ধন অর্থ তালিকাভুক্তকরণ। অংশীদারি কারবারের নিবন্ধন বলতেদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক নিয়োজিত অংশীদারি নিবন্ধকের অফিসে কারবারটি তালিকাভুক্ত করাকে বোঝায়।

১৫।অংশীদারি কারবার কি নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক?

উঃ বাংলাদেশে প্রচলিত ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনে অংশীদারি কারবারের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়নি।


Comments

Popular posts from this blog

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে।।Human Resource Management

হস্তান্তর পাওনা বা হস্তান্তর ব্যয় কাকে বলে?

মূলধন কাকে বলে?।। What is capital?